বগুড়ায় সালিস বৈঠককে কেন্দ্র করে হাসান সরকার (৫০) নামে এক বাসচালককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসানের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা হাসানকে উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার বিকেলে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।

হাসান সরকার শহরের পালসা সরকার পাড়ার মৃত শামসু সরকারের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জাকির সরকার মৃদুল শুক্রবার দুপুরে বগুড়া সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার এক মেয়েকে দীর্ঘ দিন ধরে উক্ত্যক্ত করত রুপম সরকার। একপর্যায়ে মেয়েটিকে নানা রকম কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। এ বিষয় নিয়ে এলাকায় একটি সালিস বসে। সেই সালিসে রুপম হাসানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

এদিকে সালিসটি কার্যকর না হওয়ায় ভুক্তভোগী মেয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে রুপমের মধ্যে আরও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার রাতে রুপম ও তার স্ত্রী খুশি তাদের সহযোগীদের নিয়ে হাসানের পথরোধ করে গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে রুপম হাসানের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কয়েকটি আঘাত করে। এতে হাসান মাটিতে পড়ে যান। পরে বাকি অভিযুক্তরা তাকে মারধর করতে থাকলে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। 

উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) আব্দুর রশিদ সরকার জানান, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। এ বিষয়ে দুপুরে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। পাশাপাশি জড়িত সকলকে ধরতে আমাদের অভিযান চলছে। 

এসপি