নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল কাশেম সরদারকে প্রধান ও উপপরিচালক আবদুল আলিমকে সদস্য করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিদ্যুতায়ন বোর্ড নোয়াখালীর জেনারেল ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একসঙ্গে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, ঝুঁকিপূর্ণ এই খুঁটি সরাতে কর্মকর্তাদের অনুরোধ করলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা শহীদ উল্ল্যাহ্‌ বলেন, প্রায় ৩৫ বছর আগে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এখানে খুঁটি স্থাপন করে সংযোগ দেয়। ১০ বছর আগে এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহের এখতিয়ার চলে যায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অধীনে। কিন্তু তারা ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি সরাতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও তারা কর্ণপাত করেননি।

নিহত আব্দুর রহিমের শ্যালক মোরশেদ আলম বলেন, ‘অনেকবার পল্লী বিদ্যুৎকে খুঁটি সরাতে বলেছি। তারা সরায়নি। এখন চারজনকে জীবন দিতে হলো। তাদের কাছে মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই।’

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড নোয়াখালীর জেনারেল ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা বলেন, দুই মাস আগে ওই খুঁটিটি সরাতে গেলে মার্কেটের মালিক আব্দুর রহিম বাধা দেন। এ জন্য খুঁটি সরানো হয়নি। দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ সব খুঁটি সরিয়ে ফেলা হবে।

সোনাইমুড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে মৃতদের তালিকা পাঠিয়েছি। সেখান থেকে তাদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের শীলমুদ গ্রামে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে চারজনের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন উপজেলার বজরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শীলমুদ গ্রামের শহীদ মাওলানা বাড়ির আবুল বাশারের ছেলে আব্দুর রহিম (৫৫), উজির আলীল ছেলে ইউসুফ (৪৮), নূর হোসেনের ছেলে মো. সুমন (২৮) ও মো.শহীদ উল্লাহর ছেলে মো. জুয়েল (১৬)।

হাসিব আল আমিন/এনএ