গোলজার রহমান আদর

কালের কণ্ঠের রংপুর অফিসের আলোকচিত্রী গোলজার রহমান আদরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. শাহেনুর এ আদেশ দেন।

গোলজার রহমান আদরের পক্ষের আইনজীবী আব্দুল হক প্রামাণিক এবং আদালতের সিনিয়র স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এ কে এম হারুন অর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রংপুর নগরীর নিউ ইঞ্জিনিয়ারপাড়া এলাকা থেকে আদরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১৩ এর একটি দল। পরে তাকে নগরীর হারাগাছ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আদালতে নেওয়া হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অ্যাডভোকেট এ কে এম হারুন অর রশীদ ঢাকা পোস্টকে জানান, রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সরফুউদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর সময়ে গোলজার রহমান আদর ছিলেন সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ সহকারী। ২০১৭ সালের ৭ ও ৮ আগস্ট ৪৭টি প্যাকেজের প্রকল্পের কাজের দরপত্র তিনটি জাতীয় পত্রিকায় ছাপার কথা বলা হলেও পরবর্তীতে ওইসব পত্রিকায় এ বিজ্ঞাপন আর ছাপানো হয়নি।

জালিয়াতি করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহককারী পরিচালক নূর আলম বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ২৭ জুলাই হারাগাছ থানায় একটি মামলা করেন। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সম্প্রতি ওই মামলায় আদর রহমান গ্রেফতার হন।

প্রসঙ্গত, রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) তৎকালীন মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর সময়কালে গোলজার রহমান আদর আলোকচিত্রী ও জনসংযোগ সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন আকতার হোসেন আজাদ ও নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন। এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় আদর ছিলেন সাক্ষী।

পরে অজ্ঞাত কারণে সাক্ষী থেকে আদরকে আসামি করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে রসিকে কর্মরত আছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন। সিটি করপোরেশনের সাবেক কর্মকর্তা আকতার হোসেন আজাদ পদোন্নতি পেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত হন। বর্তমানে তিনিও দুদকের তদন্ত শাখার পরিচালক হিসেবে কর্মরত।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর