কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক ঝগড়ার জের ধরে শ্যালকের আঘাতে দুলাভাই শাহজাহান (৩৪) নামের এক পাওয়ারটিলার চালক নিহত হয়েছেন।

শাহজাহান রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ মদনেরচর গ্রামের মৃত শহিদ আলীর ছেলে। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ময়মনসিংহের মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা জানায়, ১০ বছর অগে সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ মদনেরচর গ্রামের মৃত শহিদ আলীর ছেলে নিহত শাহজাহানের সঙ্গে বিয়ে হয় মুন্সিপাড়া গ্রামের ছমের আলীর মেয়ে শরিফা খাতুনের। তাদের দুটি পুত্রসন্তান রয়েছে।

শাহজাহান ও তার স্ত্রী শরিফা খাতুন দুইজনের জমানো টাকা দিয়ে একটি পাওয়ারটিলার কিনেছিল। তা দিয়ে অন্যের জমি চাষ করে ৪ সদস্যের এই পরিবারটির ভরণপোষণ চলত।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্বামী-স্ত্রী মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় শাহজাহান রাগের মাথায় বিক্রি করার কথা বলে বাড়ি থেকে পাওয়ারটিলারটি বের করে। এ সময় তার স্ত্রী মোবাইল ফোনে তার ভাই শহিদুল ইসলামকে খবর দেয়।

শাহাজাহান পাওয়ারটিলার চালিয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী রাস্তায় উঠার পথে বোনের পাওয়া খবরে শ্যালক শহিদুল হাজির হয়ে উভয়ের মাঝে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে শ্যালক শহিদুল এক বাড়ি থেকে টিউবওয়েলের হাতল নিয়ে এসে শাজাহানের মাথা ও পিঠে আঘাত করে।

সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায় শাহজাহান। পরে এলাকাবাসী তাকে রাজীবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

রাজীবপুর থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে শরিফা খাতুনকে আটক করা হয়েছে। ঘাতক শহিদুল পলাতক রয়েছে। লাশ কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানোর জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

জুয়েল রানা/এমএসআর