স্ত্রীকে হত্যার পর স্ট্রোক বলে প্রচার, স্বামী গ্রেফতার
দেলোয়ার হোসেন
ময়মনসিংহের ফুলপুরে যৌতুকের জন্য এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। হত্যার পর স্ট্রোক করে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে, এমন প্রচার চালিয়ে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের পাঁয়তারাও করা হয় বলে জানা গেছে।
নিহতের মা বাদী হয়ে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) থানায় হত্যা মামলা করেছেন। স্বামী দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, উপজেলার বিহারাঙা গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলামের ছেলে দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে অন্তত ১০ বছর আগে বিয়ে হয় রিতা আক্তারের (২৭)। নওগাঁর বদলগাছির ভোলার পলিমা গ্রামের ইব্রাহিম খানের মেয়ে রিতা।
রিতা-সাইফুলের সংসারে ২ ছেলে-মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে রিতাকে নানা কারণে অত্যাচার করতেন স্বামী সাইফুল। দেলোয়ার গত রোববার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হন।
বিজ্ঞাপন
পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া রাতে বৃদ্ধি পায়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে সাইফুল বাড়ির লোকজনকে বলতে শুরু করেন স্ট্রোক করে মারা গেছে রিতা। মৃত্যুর খবর শ্বশুরবাড়িতেও পাঠানো হয়।
পরদিন তাড়াহুড়ো করে মরদেহ দাফনের চেষ্টা করলে খবর পেয়ে পুলিশ আসে। ওইদিন দুপুর ৩ টার দিকে কাফনে মোড়া লাশ পায় পুলিশ। ওই অবস্থায় সুরতহালে নিহতের কপাল ও পিঠে জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়। পুলিশ দেখে পালিয়ে যায় দেলোয়ার।
শিশুকন্যা আনিকা পুলিশকে জানায় মাকে মারধর করেছিল বাবা। পরে মরদেহ ময়মনাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার রাতে দেলোয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।
ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মা রশিদা বেগম যৌতুকের জন্য মেয়েকে হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ ওই মামলায় দেলোয়ারকে গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করে।
উবায়দুল হক/এমএসআর