সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় আব্দুল হক মোবাশ্বিরকে হত্যার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার পান্না বেগম (১৯) মোবাশ্বিরের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চান্দাই থেকে তাকে গ্রেফতার করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। তিনি ওই এলাকার রবিউল আলমের মেয়ে। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে দক্ষিণ সুরমার ধােপাঘাট এলাকার হাউজিং প্রকল্পের একটি টিনশেড ঘর থেকে আব্দুল হক মোবাশ্বিরের (৫৯) রক্তমাখা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে।

পুলিশ জানায়, ওই হাউজিং প্রকল্পের সবজিবাগান দেখাশােনার দায়িত্বে থাকা কেয়ারটেকার জমির মিয়া শনিবার বিকেলে মোবাশ্বিরের টিনশেড ঘরের গেট ভেতর থেকে লাগানাে দেখেন। ডাকাডাকির একপর্যায়ে জমির মিয়া গেটের ভেতরে প্রবেশ করে মেঝেতে রক্তমাখা মােবাশ্বিরের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

তিনি বিষয়টি স্বজনদের জানালে তারা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। মোবাশ্বির মোগলাবাজার থানার সিলাম শেখপাড়ার মৃত ফজলুল হকের ছেলে।
এ ঘটনায় রাতেই মোবাশ্বিরের বড় ভাই মুহিবুল হক দক্ষিণ সুরমা থানায় হত্যা মামলা করেন।

দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পান্না বেগম নামের নারীকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

তুহিন আহমদ/এমএসআর