বাউফলের পৌর মেয়রসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
পটুয়াখালীর বাউফলের আলোচিত যুবলীগ কর্মী তাপস হত্যা মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌর-মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রোববার পটুয়াখালীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আল আমিনের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) কর্তৃক আদালতে দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদন নামঞ্জুর হয়। মামলায় অনুপস্থিত অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধেও সমন জারি করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. রিপন খাঁন বলেন, যুবলীগ কর্মী তাপস কুমার দাস (২৯) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলসহ ১৬ জন আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বিজ্ঞাপন
রোববার বাদীপক্ষ ওই প্রতিবেদনের ওপর অনাস্থা আবেদন করলে আদালত পিবিআই’র প্রতিবেদন নামঞ্জুর করে মূল এজাহারে বর্ণিত ধারায় মামলা আমলে নেন।
এসময় অনুপস্থিত প্রধান আসামি বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিজ্ঞ আদালত।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে মামলার বাদী ও নিহত তাপসের বড় ভাই পঙ্কজ দাস বলেন, পিবিআইর তদন্ত চলাকালীন তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল মতিনের কর্মকাণ্ড সন্দেহ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেছি। কালো টাকার বিনিময়ে তদন্ত কর্মকর্তা মতিন প্রধান আসামি মেয়র জুয়েলসহ ১৬ জন আসামিকে অব্যাহিত দেয়।
আদালতে তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর অনাস্থার আবেদন করলে মহামান্য আদালত পিবিআইর তদন্ত প্রতিবেদন নামঞ্জুর করে এবং আমার এজাহার আমলে নেয়। একই সঙ্গে অনুপস্থিত থাকায় মেয়রসহ ১৪ জন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৪ মে বাউফল থানার সামনে একটি তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জেরে পৌর মেয়র অনুসারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হয় কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য তাপস কুমার দাস (২৯)। এ ঘটনায় নিহত তাপসের বড় ভাই পঙ্কজ দাস বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
চলতি বছরের ২৯ জুলাই মেয়র জুয়েল, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ১৬ জন আসামির নাম উল্লেখ করে অব্যাহিত চেয়ে পটুয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইর পরিদর্শক আবদুল মতিন খাঁন।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমএএস