রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে এক যুবকসহ দুই গৃহবধূর মরদেহ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট থানা নিশ্চিত করেছে। 

রংপুর নগরীর কাছনা মধ্যপাড়া তকেয়ারপাড় ও রামপুরা সাতগাড়া এবং কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছের সৎবাজার এলাকা থেকে পৃথক পৃথক ঘটনায় মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়। 

জানা গেছে, মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানা এলাকায় সৎবাজার থেকে সকিনা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার হয়। সকালে পরিবারের লোকজন ওই গৃহবধূকে তার নিজ ঘরে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল‌ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

সাকিনা বেগম বাদাম বিক্রেতা ফয়জার রহমানের স্ত্রী। সংসারে তাদের তিন সন্তান রয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছে।

একই দিনে হারাগাছ থানা এলাকার কাচনা মধ্যপাড়া তকেয়ারপাড় গ্রাম থেকে আরেকটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাজু মিয়া (২৮) ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ওই যুবক পেশায় একজন মিস্ত্রি ছিলেন।

হারাগাছ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী চৌধুরী জানান, সকিনা বেগমের মরদেহ নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে ময়নাতদন্তের জন্য রমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রাজুর আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ না থাকায় পরিবারে কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। 

এদিকে দুপুরে নগরীর রামপুরা সাতগাড়া এলাকা থেকে সুলতানা সুমি (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুলতানা সুমি ওই এলাকার এএসএম বখতিয়ার রহমান তুষারের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সুলতানা সুমির মৃত্যুর খবর গ্রামের মানুষের কাছে প্রচার করা হয়। কিন্তু লাশের গোসল দেওয়ার সময়ে ওই গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) রাজিব বসুনিয়া মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আপাতত এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। 

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসপি