স্কুলের ছাদে রাতভর নির্যাতন, হাসপাতালে যুবকের মৃত্যু
মাদক বিক্রি ও সেবনে বাধা দেওয়ায় পাবনার ঈশ্বরদীতে বিপ্লব ফকির (২৪) নামে এক যুবককে সারা রাত বেঁধে রেখে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (০২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
বিপ্লব উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের চররূপপুর জিগাতলা গ্রামের পান্না ফকিরের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তার এক বছর বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একই এলাকার পলাশ হোসাইনের ছেলে অন্তরকে (২৭) আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত শান্ত ও পার্শ্ববর্তী আব্দুল গাফফারের ছেলে আলামিন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিপ্লবের সঙ্গে কিছু দিন আগে প্রতিবেশী শান্তর কথা কাটাকাটি হয়। সে সময় বিপ্লবের চাচা রতন শান্তকে চড়-থাপ্পড় মারে। শান্ত বিপ্লব ও রতনকে খুনের হুমকি দেয়।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শান্ত কৌশলে মোবাইল ফোনে বিপ্লবকে ডেকে নেয়। এরপর চররূপপুর জিগাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে তাকে মুখ বেঁধে সারা রাত নির্যাতন করে। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও বিপ্লবের পরিবার তাকে খুঁজে পায়নি। সকালে প্রতিবেশী এক নারীকে শান্ত বলেন বিপ্লব স্কুলের ছাদে আছে।
বিপ্লবের বাবা পান্না ফকির বলেন, প্রতিবেশীর মাধ্যমে খবর পেয়ে সকাল ৯টায় স্কুলের ছাদ থেকে বিপ্লবকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। বিপ্লবের সারা শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে বিপ্লবের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অন্তর নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। খুনের পুরো বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
রাকিব হাসনাত/এসপি