দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির উৎপাদন, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আগামী ছয় বছরের জন্য পুনরায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)।

নতুন চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ৬ বছরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি কর্তৃক ৮৮ লাখ ৬০ হাজার টন পাথর উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৬ বছরে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এতে এক টন পাথর উত্তোলন করতে খরচ পড়বে প্রায় ১ হাজার ৪৪৫ টাকা। তবে বিগত চুক্তির তুলনায় এবার উৎপাদন খরচ কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছে খনি কর্তৃপক্ষ।

খনি সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৫ মে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়। উৎপাদন শুরুর পর থেকে নানা প্রতিকূলতার কারণে পেট্রোবাংলা প্রতিদিন তিন শিফটে ৫ হাজার টন পাথর উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এক শিফটে গড়ে ১ হাজার টন পাথর উত্তোলন করে আসছিল। ফলে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত খনিটি ক্রমাগত লোকসান দিয়ে আসছিল। এ অবস্থায় ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে খনির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয় জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়ামকে (জিটিসি)। জিটিসি পূর্ণমাত্রায় পাথর উৎপাদন করায় পরপর টানা তিন অর্থবছর প্রায় ৫০ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করে খনিটি।

জিটিসির প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় চলতি বছরের ২ সেপ্টেম্বর। নিয়ম অনুযায়ী, চুক্তি শেষ হওয়ার কমপক্ষে ৬ মাস আগে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়ার কথা। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে দফায় দফায় আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেও বিদেশিদের সাড়া মেলেনি। এ অবস্থায় খনির পাথর উৎপাদন অব্যাহত রাখার স্বার্থে এবং জিটিসির পারফরমেন্স বিবেচনায় নিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (এমজিএমসিএল) জেনারেল ম্যানেজার আবু তালেব ফরাজি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, পেট্রোবাংলা, জ্বালানি মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সিদ্ধান্তে পুনরায় জিটিসির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে। 

ইমরান আলী সোহাগ/এসকেডি