মাদারীপুরে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে দীর্ঘ এক মাসের অধিক সময় ধরে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল। এতে পণ্যবাহী পরিবহন রাজধানীতে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে বিকল্প নৌরুট ব্যবহার করায় বেড়েছে দুর্ভোগ। গত ১৮ আগস্ট থেকে পদ্মায় পানি বেড়ে যাওয়ায় তীব্র স্রোতের কারণে বন্ধ রাখা হয় ফেরি চলাচল। 

এদিকে গত কয়েকদিন ধরে পদ্মায় পানি ও স্রোত কমে আসায় সোমবার (৪ অক্টোবর) সকালে এ নৌ-পথে পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি ছাড়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনা এড়াতে গত ১৮ আগস্ট দুপুর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বর্তমানে পদ্মায় পানি কমার সঙ্গে স্রোত কিছুটা কমেছে। গুরুত্বপূর্ণ এ নৌ-রুটকে পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনী, বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির প্রতিনিধিরা। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেন সোমবার সকালে সংশ্লিষ্ট দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে যানবাহন ছাড়া পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি উভয় ঘাট থেকে ছাড়া হবে। যদি সফলভাবে ফেরি চলাচল করতে সক্ষম হয় তাহলে সোমবার থেকেই স্বাভাবিকভাবে ফেরি চলাচল শুরু হবে।

এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহার করে পণ্যবাহী ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করছে। এতে তাদের খরচ বেড়ে গেছে ও সময় লাগছে বেশি। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে চারটি রো রো ফেরিসহ মোট ১৬-১৮টি ফেরি চলাচল করত। সম্প্রতি আরও দুটি নতুন ফেরি যুক্ত করা হয় এ নৌরুটে।

বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, পদ্মায় স্রোত ও পানি দুটি এখন কমেছে। এখানে আপাতত ডাম্ব ও রো রো ফেরি চলবে না। শুধু কে–টাইপের ফেরি চলবে। যদি সফলভাবে পরীক্ষামূলক চলাচল সম্পূর্ণ হয়, তাহলে সোমবার থেকেই বাণিজ্যিকভাবে ফেরি চলাচল শুরু হবে।

বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, ফেরি চলাচলের বিষয়ে নৌ-বিভাগ, বিআইডব্লিউটিএ ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা নজরদারি করছেন। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেরি চলাচল শুরু হবে।

নাজমুল মোড়ল/এসকেডি