সুনামগঞ্জ শহরে তিন চাকার অটোরিকশার দাপট বেড়েই চলছে। সারা শহরে এখন অল্প ব্রেকের এই যান চলাচল করছে অবাধে। মানছে না কোনো বিধি নিষেধ। যেখানেই যাত্রীর ডাক পড়ে সেখানেই থামে এই যান। হোক রাস্তার মাঝে বা পাশে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, শহরে গাড়ির চাপ কমাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টার কমতি নেই। এ জন্য তিন চাকার অটোকে কালীবাড়ি রাস্তার মুখে আটকে দেওয়া হয়। শহরের প্রাণকেন্দ্র আলফাত স্কয়ারে সরাসরি এসব অটোকে যেতে দেওয়া হয় না। এ ছাড়াও সদর থানার তিন রাস্তায় স্টেডিয়াম সড়কে আটকে দেওয়া হয় অটোরিকশাকে। তবে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রায়ই শহরের মূল অংশে ঢুকে পড়ছে এসব গাড়ি। এতে তৈরি হয় যানজট, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

সুনামগঞ্জ পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভা থেকে অটোরিকশাকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়। সীমিত পরিসরে অটোরিকশাকে ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে শহরে চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। তবে বৈধ অটোর সংখ্যা ৬৫০টি।

নতুন পাড়ার বাসিন্দা অভিজিৎ রায় বলেন, অনেক অটোর চালক শিশু। বিশেষ করে করোনাকালীন শিশু অটোচালকের সংখ্যা বেড়েছে। এতে সড়কে দুর্ঘটনা অনেক বেড়েছে। এদের নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

সহকারী সরকারি কৌঁসুলি অ্যাড. মাহবুবুল হাছান শাহীন বলেন, শহরে অটোচালকদের কোনো শৃঙ্খলা নেই। যে যেভাবে পারছে অটোরিকশা চালাচ্ছে। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। আমার সন্তান নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে একা একা রাস্তা পার হতে পারে না। ভয় পায়। এখনও তাকে রাস্তা পার করে দিতে হয়।

সুনামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর মোশাররফ হোসেন বলেন, এই এলাকার মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থানের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই সীমিত সংখ্যক অটোরিকশাকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. শামছুল আলম বলেন, শহরে অটোরিকশা চলাচলের ওপর আমাদের নজরদারি রয়েছে। কিছু চালক বেপরোয়া হয়ে অটোরিকশা চালায়। যাত্রী নামাতে রাস্তার মাঝে দাঁড় করিয়ে দেয়। এ ধরনের অটোরিকশা আটক করে কিছু দিন পুলিশ লাইন্সে রেখে দেয়। চালকরা সংশোধন হলে ছেড়ে দেয়।

উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের হালুয়ারগাওয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বেপরোয়া সিএনজি-ট্রাকের সংঘর্ষে চালকসহ ছয়জন গুরুতর আহত হয়। এ সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় চালকসহ চারজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। 

সাইদুর রহমান আসাদ/এসপি