দেশে ইলিশ ধরা ও বাজারজাতকরণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ায় ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার (০৩ অক্টোবর) পর্যন্ত সরকার অনুমোদিত চার ভাগের এক ভাগ ইলিশ রফতানি হয়েছে ভারতে। চলতি মৌসুমে পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা না পড়ায় এ বছর রফতানি কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন রফতানিকারকরা। 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারের বিশেষ অনুমতিতে ১১৫টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি পায়। বাজারে মাছ সংকট এবং উচ্চমূল্যের কারণে ৫১টি প্রতিষ্ঠান গতকাল রোববার পর্যন্ত ১ হাজার ১০৮ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রফতানি করতে সক্ষম হয়। অনুমোদনপ্রাপ্ত বেশির ভাগ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এ বছর বরাদ্দের ৪০ লাখ কেজির অনুমোদন নিয়েও এক কেজি ইলিশও রফতানি করতে পারেননি। 

বেনাপোলের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজের মালিক মোতালেব বিশ্বাস বলেন, এ বছর চাহিদার তুলনায় অনেক কম ইলিশ ধরা পড়েছে। এছাড়া দেশের বাজারের তুলনায় ভারতে রফতানি মূল্য কম হওয়ায় উচ্চমূল্যে বাজার থেকে ইলিশ কিনে তা রফতানি করা সম্ভব হয়নি।

চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ভারতে ইলিশ রফতানি শুরু হয়। প্রথম দিন প্রায় ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি হয়। 

বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টনের বিপরীতে গতকাল রোববার পর্যন্ত ভারতে মাত্র ১ হাজার ১০৮ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি হয়েছে। এই পরিমাণ ইলিশ রফতানি করে ১১ লাখ ২২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার আয় হয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৯ কোটি ৫৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।

আরএআর