সুনামগঞ্জের ছাতকে দুই শিক্ষকের ওপর সন্ত্রাসী হামলাকারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার ভেতর গ্রেফতার না হলে দেশজুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সুনামগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষক পরিবার। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে শহরের আলফাত স্কয়ারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। আর সেই মেরুদণ্ড তৈরিতে সবচেয়ে বড় কারিগর শিক্ষকরা। অথচ এই শিক্ষকরা আজ কোথাও নিরাপদ নন। বিদ্যালয়ে, ঘরে-বাইরে শিক্ষকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে। এই হামলা ও মামলার পরবর্তী খোঁজখবর কেউ রাখেন না। ছাতকে দুই শিক্ষকের ওপর হামলার অনেক দিন পার হলেও এখনো সন্ত্রাসীরা থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

বক্তারা আরও বলেন, আমরা শিক্ষক। আমাদের কাজ ক্লাসরুমে। সহকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় দাঁড়াতে চাই না আমরা। আমরা চাই আমাদের সহকর্মীর ওপর যারা হামলা চালিয়েছে তাদের অতি দ্রুত গ্রেফতার করা হোক। যদি আগামী ২৪ ঘণ্টার ভেতর সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করা হয়, তাহলে সারাদেশের শিক্ষকদের নিয়ে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রধান শিক্ষক সমিতি সভাপতি নাসরীন আক্তার খানমের সভাপতিত্বে ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হারুনুর রশীদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সুজিত কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার চন্দ মন্তুষ, ছাতক উপজেলার প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোনায়েম খান, দোয়ারাবাজার উপজেলার প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি বাবু রানা আচার্য, এ কে এম মুহিবুর রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর ছাতকের দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের মায়েরকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ছোট ভাই জুনেদ আহমদ ও মায়েরকোল গ্রামের মৃত সমর আলীর ছেলে কয়েছ আহমদের মধ্যে ঝগড়া থামাতে গেলে অপর পক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত হন শিক্ষক কবির। তিনি সিংচাপইড় ইউনিয়নের সৈদেরগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। কবির আহমদকে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও মূল আসামিরা এখনো পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পরই গত ৩০ সেপ্টেম্বর জমি থেকে ঘাস কাটার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন জাউয়াবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরমুজ আলীর ওপর হামলা চালায়। 

সাইদুর রহমান আসাদ/এনএ