দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাটে বেলান নদীর গতিপথ বন্ধ করে নির্মিত বিকল্প রাস্তাটিও ভেঙে গেছে। এতে স্থানীয়দের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ইতোপূর্বে ওই স্থানে বেশ কয়েকবার দায়সারাভাবে সাঁকো নির্মাণ ও রাস্তা মেরামত করা হলেও কিছু দিন পর সেগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যায়। 

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, এলজিইডির বাস্তবায়নে বন্যা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে পাকেরহাট থেকে খানসামা সড়কে বেলান নদীর ওপর ৩৫ মিটার গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্ষার আগে সেতুর কাজ শেষ করবে মর্মে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যানবাহন ও পথচারীদের যাতায়াতে নদীর গতিপথ বন্ধ করে বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করে।

কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় পানি পারাপারে রিং বসানো হয়েছিল। সেটিও পানি প্রবাহের কারণে ভেঙে যায়। পরে সেই রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় সাঁকো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু পানির চাপে সেই সাঁকোর দুই পাশেই ভেঙে যায়। এ নিয়ে ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশের পর আবার নদীর গতিপথ বন্ধ করে রিং বসিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়। তবে সেই রাস্তাটি বৃষ্টির পানিতে আবার ভেঙে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর ওপর নির্মিত বিকল্প রাস্তা গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ভেঙে যাওয়ার ফলে পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াতকারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রায় ২ কিলোমিটার ঘুরে পাকেরহাট জাকির মার্কেট হয়ে নিউ পাকেরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মোড় দিয়ে ভান্ডারদহ, বালাডাঙ্গী, ডাঙ্গপাড়া, খামারপাড়া, হোসেনপুর, সহজপুর ও খানসামাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলায় যাতায়াত করতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মধ্যে পাকেরহাট একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাট। প্রতিনিয়ত কাঁচামালসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনাবেচার জন্য উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে হয় এই হাটে। এখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও অবস্থিত। অতি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিতে স্থায়ীভাবে কিছু না করে দায়সারাভাবে ছোট একটি সাঁকো তৈরি করে দেওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সবাইকে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এস বসুন্ধরার ম্যানেজার তাপস কুমার মনা বলেন, বিষয়টি আমরা দেখছি। কয়েক দিনের মধ্যে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করা হবে।

এ বিষয়ে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ বলেন, পানির গতি প্রবাহ বন্ধ না করে বিকল্প রাস্তা হিসেবে কাঠের সাঁকো নির্মাণ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে তাদের তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। 

আরএআর