রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বুধবার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে শেষ হয়েছে। এরপর থেকেই রাজশাহী ছাড়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয় ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের। সবার টার্গেট ঢাকাগামী আন্তঃনগর পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন। বিকেল ৪টায় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ছাড়ার কথা ছিল ট্রেনটির। তবে আসন আগেই শেষ হয়ে যায়। 

আসনবিহীন যাত্রীদের টিকিট দেওয়াও বন্ধ। কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দিতে আসনবিহীন টিকিট দেয় স্টেশন কর্তৃপক্ষ। সেই টিকিট নিতেও হুড়োহুড়ি পড়ে যায় স্টেশনে। সেই ভিড় গিয়ে ঠেকে ট্রেনের কামরায়। গাদাগাদি করে লোকজন উঠে পড়েন ট্রেনে। 

ফলে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যায় ট্রেন ছাড়তে। এক সময় দেড় শতাধিক অতিরিক্ত যাত্রী রেখেই ছেড়ে যায় পদ্মা এক্সপ্রেস। এ ঘটনার পর রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তবে রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ঘণ্টাখানেক পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে ৪টার পর রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায় ঢাকাগামী আন্তঃনগর পদ্মা এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনের যাত্রী ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকরা। বহু শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ট্রেনের টিকিট না পেয়ে স্টেশনে অবস্থান করছিলেন। স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটেও দেড় শতাধিক যাত্রী ট্রেনে উঠতেই পারেননি। পরে ট্রেনে উঠতে না পারা যাত্রীরা স্টেশনে বিক্ষোভ শুরু করেন। 

এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ বলেন, শিক্ষার্থীরা অনেকে টিকিট না কেটেই ট্রেনে চড়তে চেয়েছিলেন। পরে রেল কর্তৃপক্ষ স্ট্যান্ডিং টিকিট দেয়। কিন্তু ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হওয়ায় অনেকে উঠতে পারেননি। এটা নিয়ে ছোট একটি ঝামেলা হয়েছিল। আমার সেটি মিটিয়ে দিয়েছি। খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ১০৬ আসনের একটি কোচ সংযুক্ত করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর রাজশাহী থেকে কমিউটারে করে যাত্রীদের ঈশ্বরদীতে নেওয়া হবে। সেখানে গিয়ে তারা সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ঢাকায় ফিরতে পারবে। 

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর