প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশনের পর কোনো ম্যাসেজ আসেনি। পরবর্তীতে আসে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়ার ম্যাসেজ। কিন্তু তার আগেই মারা যান ক্যান্সার আক্রান্ত জায়দা খাতুন। 

জায়াদা খাতুনের মৃত্যুর পর ম্যাসেজ আসে যে তিনি দ্বিতীয় ডোজ টিকাও নিয়েছেন। ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটও ডাউনলোড করেছেন তার ছেলে। 

জায়দা খাতুনের ছেলে মো. আজমল হোসেন বলেন, আমি ১ আগস্ট আমার আম্মাকে টিকা দেওয়ার জন্য রেজিস্টেশন করি। কিন্তু চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করলে তিনি টিকা না দেওয়ার জন্য বলেন। পরে আমরা আর টিকা দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করিনি। 

রেজিস্ট্রেশন করা হলেও জায়াদা খাতুনের প্রথম ডোজ টিকার জন্য কোনো এসএমএস আসেনি। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের জন্য ১৮ সেপ্টেম্বর এসএমএস আসে। অথচ ২৯ আগস্ট মারা যান জায়াদা খাতুন।  

এখানেই শেষ নয় টিকা সনদ সংগ্রহের এসএমএসও যায় ৪ অক্টোবর। 

আজমল হোসেন বলেন, আমি লগইন করে সনদ ডাউনলোড করে দেখি আম্মার মৃত্যুর ২১ দিন পরে উনাকে টিকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সনদ দেওয়া হয়েছে। এখন আমার মাথায় আসে না একজন মৃত ব্যক্তি কিভাবে টিকা দিলেন। 

এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, এই ধরনের কিছু হওয়ার কথা না। প্রথমে ডাটা এন্ট্রি করা হয়। তারপর তা অনলাইনে আপডেট হয়। এই ধরনের জটিলতা হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। 

ওমর ফারুক নাঈম/এনএফ