পিরোজপুরে পারিবারিক কোন্দলে আপন ভাতিজার হাতে মাছ ব্যবসায়ী চাচা নিহত হয়েছেন। বুধবার (৬ অক্টোবর) মধ্য রাতে পিরোজপুরের জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পিরোজপুরের শিকারপুর এলাকা থেকে শুক্কুর নামের একজনকে আটক করেছে। অন্যরা পলাতক আছেন।

নিহত জিয়াউল ইসলাম জিকু (৩০) নাজিরপুর উপজেলার উদয়তারা এলাকার দলিল উদ্দিন খানের ছেলে এবং পৌর শহরের মধ্যরাস্তা এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে মাছের ব্যবসা করতেন।

বিষয়টি জানিয়েছেন পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জা মো. মাসুদুজ্জামান।

নিহত ব্যক্তির বড় ভাই আমির হোসেন বলেন, হত্যাকারী মামুন বিভিন্ন সময় আমার ভাই জিকুর কাছে টাকা চাইত এবং টাকা না দেওয়ায় এর আগে একাধিকবার তাকে মারধর করেছে। আমার ভাই পিরোজপুরের মধ্যরাস্তা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে বাজারে মাছের ব্যবসা করত। গতকাল মধ্যরাতে ব্যবসা গুছিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে মোড়েলগঞ্জের হোগলাপাশা এলাকার মোজাম্মেলের ছেলে মামুন বিরিয়ানি খেতে দোকানে ডাক দেয় তাকে।

সে এগিয়ে গেলে কিছু বোঝার আগেই পেছন থেকে দা দিয়ে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায় মামুন। পরে স্থানীয় একজন তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।

জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তারেক আজিজ জানান, রাতে তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার পায়ের মাংসপেশিতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। যেখান থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জিকুর স্ত্রী লিমা আক্তার জানান, জিকুর সাথে ভাতিজা মামুনের আর্থিক লেনেদেন ছিল। মামুনের কাছে জিকু পাওনা টাকা চাইলে তার সাথে হাতাহাতি হয়। এ সময় মামুন তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। গত রাত পৌনে ১২টার দিকে জিকু বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে শহরের জেলা পরিষদ মার্কেটের কাছে হাজী বিরিয়ানি হাউজের সামনে এলে মামুন ও তার তিন সহযোগী শুক্কুর, পলাশ ও সুবেল ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জা মো. মাসুদুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলের পাশে থাকা সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। শিগগিরই জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী লিমা আক্তার বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মো. আবীর হাসান/এনএ