নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মো. হৃদয়  (২৭) নামে এক অটোরিকশা চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

এর আগে সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পূর্বাচল নতুন শহরের ৭ নম্বর সেক্টরের ২১৯ নম্বর রোড থেকে হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  এ সময়  গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় মরদেহের পাশে ধারালো  হলুদ বাটওয়ালা ছুরি পাওয়া গেছে। নিহতের পরনে ছিল আকাশি রঙের গেঞ্জি ও আকাশি-সাদা চেক লুঙ্গি। 

পুলিশ বলছে, বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় যাত্রীবেশে ছিনতাইকারীরা হৃদয়ের অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এ সময় হৃদয় বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা তাকে গলা কেটে হত্যা করে। হৃদয় উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের ভোলাব এলাকার টুকু মিয়ার ছেলে।  

রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) হুমাউন কবীর মোল্লা বলেন, পূর্বাচলের ৭ নম্বর সেক্টর পাঁচবাঘ এলাকায় একটি সড়কের পাশে অটোরিকশা চালক হৃদয়ের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। হত্যায় জড়িতদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

পূর্বাচলের বাসিন্দাদের দাবি, দিনে কর্মমুখর পরিবেশে থাকলেও রাত হলেই নির্জন থাকে পূর্বাচলের প্রায় সব সেক্টর। ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে অপকর্ম করে পালিয়ে যায়। এ ছাড়াও পূর্বাচল এলাকাটি নির্জন হওয়ায় অপরাধীদের অভায়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এর আগে  গত ৩ জানুয়ারি আতলাপুর এলাকার মিলন নামে এক চালককে হত্যা করে তার অটোরিকশা ছিনতাই  করে মরদেহ পূর্বাচলের ১০ নং সেক্টরে ফেলে যায় ঠিনতাইকারীরা। এখানে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি, ধর্ষণ ও হত্যাসহ নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এতে পূর্বাচলে যাতায়াতকারীসহ এখানকার বাসিন্দারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।  

মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া/আরএআর