ছয় বছর আগে রড মিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় দুটি হাত কাটা পড়ে জাকির হোসেনের। দুই হাত হারিয়ে পঙ্গু হওয়ার তিন বছর পর তাকে তালাক দিয়ে চলে যান স্ত্রী। সেই থেকে জাকির ৯ বছরের ছেলে ও বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে বাড়িতেই বসবাস করছেন। দুই হাত হারিয়ে মানবেতর জীবন কাটছে তার। 

জাকির হোসেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় খলিফাপাড়ার খবির মন্ডলের ছেলে। সম্প্রতি তার দুরাবস্থা দেখে তাকে সহায়তার আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস। এরপর বিভিন্নজনের মাধ্যমে তার কাছে এক লাখ টাকা সাহায্য আসে। 

শনিবার (৯ অক্টোবর) সকালে নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের হাত দিয়ে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গরু ও নগদ ৩০ হাজার টাকা জাকির হোসেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

জানা যায়, জাকির প্রতি সপ্তাহে তিন দিন বিভিন্ন হাটে ২/৩ বস্তা রসুন কিনে পাইকারি বিক্রি করেন। এতে যা আয় হয় তাই দিয়ে ছেলে ও বাবা-মাকে নিয়ে কোনো রকমে তার সংসার চলছে। 

জাকির ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছয় বছর আগে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় তার দুটি হাত কাটা পড়ে। তখন থেকেই খুব কষ্ট করে চলছি। তিন বছর আগে আমার স্ত্রী আমাকে তালাক দিয়ে চলে যায়। আমার দুটি হাত না থাকায় নিজের অনেক কাজ করতে পারি না। আমার মা আমার কাজে সহযোগিতা করেন। ৯ বছরের ছেলে সিয়াম ও বাবা-মাকে নিয়ে আমি বাড়িতে থাকি। 

সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস ফেসবুক বন্ধুদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ফেসবুক বন্ধুদের পাঠানো টাকা দিয়েই পঙ্গু জাকির হোসেন ভাইকে স্বাবলম্বী করা সম্ভব হয়েছে। আমি মাত্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি তিনি একটু হলেও শান্তিতে থাকতে পারবেন।

তাপস কুমার/আরএআর