তুরাগে ট্রলারডুবি, উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি
সাভারের আমিনবাজার এলাকায় তুরাগ নদে ট্রলারডুবির ঘটনায় শিশুসহ ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুজন। তাদের উদ্ধারে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান শুরু হলেও দুপুর দেড়টার দিকে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। তবে নিখোঁজদের সন্ধানে টহল অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।
রোববার (১০ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক শেখ রবিউল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
নিখোঁজ দুজন হলেন- মা রুপায়ন বেগম (৩০) ও মেয়ে জেসমিন (২)। তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। উদ্ধার করা হয়েছে সোহেলা, আরজিনা, ইমরান, আরমান, ফারহা মনিসহ ৫ জনের মরদেহ।
এর আগে ৯ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আমিনবাজারে তুরাগ নদে গাবতলী ও দ্বীপনগর পাড়ের মাঝনদীতে ১৮ জন যাত্রীসহ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হেডকোয়ার্টার থেকে জেমিনি বোর্ডস, ইটি গাড়িসহ সদরঘাট ও সাভার ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ পরিচালনা করেন।
বিজ্ঞাপন
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঘটনার দিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি আমিনবাজার তুরাগ নদের সাধাপুর থেকে দ্বীপনগরের দিকে যাচ্ছিল। মাঝ নদীতে গেলে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায়। এ সময় ১১ জন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও নিখোঁজ হন শিশুসহ ৭ জন।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আলো স্বল্পতার কারণে ও নদীতে স্রোত বেশি থাকায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে অভিযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় দিনের মতো রোববার সকাল ৯টায় উদ্ধার অভিযান শুরু হলে দুপুরে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। তবে নিখোঁজ ২ জনের সন্ধানে টহল অব্যাহত থাকবে।
বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক শেখ রবিউল ইসলাম বলেন, যেহেতু ৩২ থেকে ৩৩ ঘণ্টা হয়েছে সেহেতু আমরা এখানকার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করছি। নিখোঁজ ২ জনের মরদেহ নিচের দিকে থাকার আশঙ্কা বেশি। তাই এখান থেকে ৪-৫ কিলোমিটার ভাটিতে খোঁজ করে ওপরের দিকে ওঠা হবে।
আরআই