নেত্রকোনায় বসতঘর থেকে স্ত্রী হিমা আক্তারের (৪৫) রক্তাক্ত মরদেহ এবং একই ঘরের আড়া থেকে স্বামী নান্দু মীরের (৫৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে জেলার মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী গ্রাম থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

মদন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি জানান, উপজেলার আলমশ্রী গ্রামের মৃত শামছু মীরের ছেলে নান্দু মীর প্রায় ১০ বছর আগে একই উপজেলার বালালী গ্রামের আব্দুল মন্নাফের মেয়ে হিমা আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে নান্দু মীর স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ির পাশে বাড়ি করে বসবাস করে আসছিলেন। তাদের অপূর্ব (৮) এবং বাবনী আক্তার (৫) নামে দুটি সন্তান রয়েছে। 

অন্য দিনের মতো সোমবার রাতে খাওয়া শেষে সন্তানদের নিয়ে বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তারা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি নান্দু মীরকে ডাকেন। ঘর থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে তিনি প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান।  

এ সময় প্রতিবেশীদের ডাকাডাকিতে তাদের সন্তানরা ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে দেন। এ সময় দুজনের মরদেহ দেখতে পান। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি আরও জানান, সোমবার রাত ১০টার পর থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টার মধ্যে যেকোনো সময়ে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘরের ভেতরে স্ত্রী হিমার রক্তাক্ত লাশ পড়েছিল এবং একই ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় স্বামী নান্দু মীরের লাশও। দাম্পত্য কলহের জের ধরে নান্দু মীর তার স্ত্রীকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জিয়াউর রহমান/এসপি