হবিগঞ্জে হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালিয়ে গেছেন স্বামী আল আমিন। এ ঘটনায় স্ত্রী সুমনা বেগমকে হত্যার অভিযোগ করেছেন সুমনার পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে নবীগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের আব্দুস সহিদের কন্যা সুমনাকে বিয়ে দেওয়া হয় বানিয়াচং উপজেলার আওয়াল মহল গ্রামের মধু মিয়া মেম্বারের ছেলে আল আমিনের সঙ্গে। সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া-বিবাধ হয়।

সোমবার (১১ অক্টোবর) রাতে আল আমিন স্ত্রী সুমনা বেগমকে মারধর করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসক সুমনাকে মৃত ঘোষণা করেন। এটি শোনার পর সহিদ স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যান।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে সুমনার বাড়ির লোকজন হাসপাতালে এসে দেখেন, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে।

সুমনার মামা আব্দুর রহমান বলেন, আমার ভাগনিকে তার স্বামী সহিদ নির্যাতন করে হত্যা করেছে। এ কারণেই লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে সে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোল্লা ওবায়দুর রেজা জানান, নিহত সুমনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে তিনি কীভাবে মারা গেছেন।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুনেছি তিনি বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। তবে তাকে হত্যার অভিযোগ পরিবার থেকে পেলে ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মোহাম্মদ নুর উদ্দিন/এনএ