মাসুদ রানা

পরিপূর্ণ জীবন নিয়ে বেড়ে ওঠা স্বপ্নবাজ ও প্রাণবন্ত যুবক মাসুদ রানা। সমাজের আরও দশজন যুবকের মতো মুক্ত চেতনায় নিজের ও পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে পাড়ি জমান রাজধানী ঢাকা শহরে। চাকরি নেন একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে। বেশ ভালোই চলেছিল তার চাকরি জীবন।

হঠাৎ ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে অসুস্থ হওয়ার পর পরীক্ষা করে জানতে পারেন তার দুটি কিডনি বিকল হয়ে গেছে। এতে জীবনের জমে থাকা স্বপ্নগুলো দুমড়েমুচড়ে যায় তার। এখন জীবন বাঁচার তাগিদে তিনি কাতরাচ্ছেন হাসপাতালের বেডে।

নিজের পরিবারে আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় চিকিৎসার অভাবে তিনি এখন মৃত্যুপথ যাত্রী। মাসুদ রানা কুড়িগ্রাম উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের গুনাইগাছ গ্রামের গোলজার হোসেনের দ্বিতীয় ছেলে।

তিনি একই উপজেলায় এক বছর আগে বিয়ে করেছেন। বর্তমানে ঢাকা কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাসুদ রানা (৩০) দীর্ঘ দিন থেকে কিডনি রোগে ভুগছেন। তার ২টি কিডনিই এখন বিকল। 

১১ মাস ধরে ডায়ালাইসিস করে চলছে তার জীবন। কৃষক বাবার জমিজমা বিক্রি করে ভারতে গিয়ে ডায়ালাইসিস আর চিকিৎসার পেছনে এরই মধ্যে প্রায় ৬-৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়ে গেছে।

এতে কোনো উন্নতি না হওয়া চিকিৎসকরা বলেছেন, একটা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। এ জন্য প্রায় ২২ লাখ টাকার প্রয়োজন। কৃষক পরিবারের পক্ষে এত বিশাল ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। তাই সহায়তার জন্য ঘুরছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে।

বাঁচার আশায় সমাজের বিত্তশালী ও দানশীল মানুষের কাছে মাসুদ ও তার পরিবার আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন। সবার সাহায্যে হয়তো তিনি ফিরে পাবে নতুন জীবন, নতুন আশা।

মাসুদ রানা বলেন, আমি ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে অসুস্থ হই। ডাক্তারের পরামর্শ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারি আমার দুটি কিডনির বড় সমস্যা হয়েছে। ডাক্তারের কথা অনুযায়ী পরিবারের লোকজন জমি বিক্রির টাকা নিয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় ভারতে। 

তখন ভারতের চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, দুটি কিডনি বিকল হয়ে পড়েছে। দ্রুত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন না করলে নিজেকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। অর্থের অভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে না পেরে দেশে নিয়ে আসে পরিবার। এখন আমি ঢাকায় কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। এখন যে আমার কী হবে আল্লাহ পাক ছাড়া কেউ জানেন না।

মাসুদ রানার বাবা গোলজার হোসেন বলেন, আমরা কৃষক মানুষ। সামান্য যেটুকু জমিজমা ছিল তা বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসার জন্য খরচ করেছি। তবুও ছেলেকে সুস্থ করতে পারছি নাই। তার একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। সমাজের দানশীল ও বিত্তবান লোকজন সাহায্যের জন্য এগিয়ে না আসলে আমার ছেলেকে বাঁচাতে পারব না।

কেউ সাহায্য পাঠাতে চাইলে ‘মাসুদ রানা, ব্যাংক হিসাব ১১৫১০৩০৪৬০৬৬৫’ (ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, মিরপুর-১, ঢাকা) নম্বরে পাঠাতে পারবেন। বিকাশ ও রকেট পার্সোনাল নম্বরেও (০১৭৩৯৪২৭১৯৫) সাহায্য পাঠানো যাবে।

জুয়েল রানা/এমএসআর