শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে আজও ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত যানবাহন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকগুলো দীর্ঘ সময় ধরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ও গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় এসে আটকে আছে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের। 

বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই চাপ আরও দীর্ঘ হতে থাকে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার করায় আটকে যাচ্ছে পণ্যবহী ট্রাক। ফলে ঘাটের পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় যানজটে সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ফেরিঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকায় তিন শতাধিক দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি। দূরপাল্লার বাসগুলো ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে ফেরির দেখা পেলেও পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা।

অপরদিকে ঘাট এলাকায় যানজট কমাতে ঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে কল্যাণপুর বাজার পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় দুই শতাধিক অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে আটকে রেখেছে পুলিশ।

খুলনা থেকে আসা ট্রাকের চালক আবদুল হালিম বলেন, খোলা আকাশের নিচে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা আটকে আছি। গোসল, খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো করতে পারছি না। আমাদের এই ভোগান্তির 
শেষ কোথায়?

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই রুটে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। ৮টি রো রো ফেরির জন্য পর্যাপ্ত রো রো পন্টুন নেই। পদ্মায় ড্রেজিংয়ের কাজও চলমান রয়েছে। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটের গাড়ির চাপ বাড়ছে। সব মিলিয়েই দৌলতদিয়া ঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে দুই-একদিনের মধ্যে ঘাট স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

মীর সামসুজ্জামান/আরএআর