আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, মৌলবাদী ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার হীন চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তখনই মৌলবাদী ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ শক্তি দেশের উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করার হীন চেষ্টা শুরু করেছে। কোনো ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি কখনই অন্য ধর্মের প্রতি আঘাত করতে পারে না। সব সময় উশৃঙ্খল ও ধর্মান্ধ ব্যক্তিরাই অন্য ধর্মের প্রতি আঘাত করে।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বপন আরও বলেন, যে সব উশৃঙ্খল ব্যক্তি হাজীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আইনের আওতায় আনা হবে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশে স্বাধীন হয়েছে। এদেশে যে কোনোভাবেই হোক ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা করা হবে।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে থাকবেন, ততদিন আপনাদের কোনো ভয় নেই। আমরা সব সময় আপনাদের পাশে আছি।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মন্দিরে হামলা ও ভঙচুরের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবেন। এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ উপজেলা ও এর আশপাশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছিরউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী, হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ স ম মাহবুব-উল আলম লিপন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, কচুয়া পৌরসভার মেয়র নাজমুল আলম স্বপন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মো. মাইনুদ্দীন, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ হেলাল উদ্দিন মিয়াজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শরীফুল ইসলাম/আরএআর