বাগেরহাট শহরের বিলাস হোটেলের একটি কক্ষের দরজা ভেঙে নাসিমা খাতুন (৩৪) নামের এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ। শনিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার স্বামী রবিউল ইসলাম রুবেলকে (২৩) আটক করেছে পুলিশ।

নিহত নাসিমা খাতুন ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী দক্ষিণপাড়া এলাকার ওলীদ মিয়ার মেয়ে। সে ঢাকার সাভার এলাকার একটি গার্মেন্টস এ চাকরি করত।

আটক রবিউল ইসলাম রুবেল ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার চতুরা গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে। এর আগে শুক্রবার বিকেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেল বিলাসে উঠেছিলেন তারা দুজন।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল জানান, ২০১৫ সালে ঝিনাইদহ পলিটেকনিকে পড়ার সময় রবিউল ইসলাম রুবেলের সঙ্গে নাসিমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্র ধরে একই বছর ২ মে একটি বাড়িতে আটকে রুবেলের সঙ্গে বয়সে ১১ বছরের বড় স্বামী-পরিত্যক্তা নাসিমা বেগমের বিয়ে দেয় তার পরিবার।

রুবেল নাসিমাকে নিয়ে তার বাড়িতে আসেন। কিন্তু ২০১৬ সালে রুবেলের কাছ থেকে চলে যান নাসিমা। পরে রুবেলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন নাসিমা। এর ফাঁকে রুবেল আবারও বিয়ে করেন। কিন্তু এক বছর ধরে পুনরায় নাসিমা ও রুবেলের মধ্যে আবারও মুঠোফোনে যোগাযোগ এবং দেখা-সাক্ষাৎ হতে থাকে।

বিলাস হোটেলের ম্যানেজার মো. হুমায়ুন বলেন, রুবেল ও নাসিমা এর আগেও আমাদের হোটেলে থেকেছেন। তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে আমাদের হোটেলে থাকেন। ব্যবসার কাজে বাগেরহাটে মাঝেমধ্যে আসেন বলে শুনেছি। এর থেকে বেশি কিছু আমি জানি না।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, হোটেল বিলাসের একটি কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আমরা নাসিমার মরদেহ উদ্ধার করেছি। তার সঙ্গে থাকা যুবক রবিউল ইসলাম রুবেলকে আমরা আটক করেছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হোটেলের ম্যানেজার মো. হুমায়ুনকেও থানায় আনা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তানজীম আহমেদ/এনএ