মৌসুমি বায়ু এখনও সক্রিয় থাকায় চাঁদপুরে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁদপুরে ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এভাবে আরও দুই-একদিন গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিসহ ভারি বর্ষণ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মো. শোয়েব। 
 
তিনি জানান, সোমবারের মতো মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। আরও দুই-একদিন আকাশ মেঘলা থাকবে এবং থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হবে। মাঝে মধ্যে রোদের দেখাও মিলতে পারে। চাঁদপুরে টানা বৃষ্টি হওয়ার কারণে গরমের তীব্রতা কমে এসেছে। মঙ্গলবার চাঁদপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। 

এদিকে বৃষ্টি হলেই চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে শহরের বিষ্ণুদী মাদরাসা রোড, প্রফেসর পাড়া, ট্রাক রোড, রহমতপুর কলোনী, ব্যাংক কলোনীসহ বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টির পানি দীর্ঘ সময় আটকে থাকে। এতে শহরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পড়তে হয়। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীদের চরম বিপাকে পড়তে হয়।

এছাড়া বৃষ্টির পানি আটকে থাকার কারণে ছোট বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় রাস্তা। বৃষ্টির পানি দেরিতে নামায় সড়কের কার্পেটিং দ্রুত উঠে যাচ্ছে। ফলে খুব দ্রুত সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

বিষ্ণুদী মাদরাসা রোডের বাসিন্দা রাকিব বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই এই সড়কে পানি জমে থাকে। এতে করে রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। উঠে গেছে রাস্তার কার্পেটিং। বৃষ্টির পানি যাতে না জমে সেজন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। না হলে এভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়তে হবে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান দর্জি বলেন, প্রতিনিয়ত আমরা ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে থাকি। তারপরও বৃষ্টি হলে মাদরাসা রোডে পানি আটকে যায়। এতে করে রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির পানি যাতে না জমে থাকে  সেজন্য পৌরসভা থেকে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শরীফুল ইসলাম/আরএআর