ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমের সম্পর্কের দীর্ঘ সময় পরেও বিয়ে না করায় প্রেমিকের জিহ্বা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকা শারমিন আক্তারের (২৫) বিরুদ্ধে।  

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ধামরাইয়ের ফড়িঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে প্রেমিক সাইফুল ইসলামের কেটে রাখা জিহ্বা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর প্রেমিক সাইফুল স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। 

অভিযুক্ত শারমিন আক্তার একই এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে। ধামরাইয়ের সাইফুল ইসলামের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাইফুল ইসলাম ফড়িঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলামের বাড়িতে প্রেমিকা শারমিনের সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী অন্তরঙ্গ মুহূর্তে প্রেমিকা শারমিন কৌশলে ব্লেড দিয়ে প্রেমিকের জিহ্বা দ্বিখণ্ডিত করে ফেলেন। এরপর শারমিনের বাবা শফিকুল, মা পানকা বেগম, ভাই ফারুক হোসেন ও নানা সোরহাব হোসেন মিলে সাইফুলকে বেধড়ক মারধর করলে সাইফুল অজ্ঞান হয়ে যায়। তারা সাইফুলকে মৃত ভেবে ঘরের ফেলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

জানা যায়, সাইফুল ইসলাম শারমিন আক্তারের সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলেন সাইফুল। কিন্তু বিয়ে না করে দিনের পর দিন সময়ক্ষেপণ করতে থাকলে প্রেমিকা শারমিন ক্ষিপ্ত হয়ে পরিবারের সহযোগিতায় সাইফুলের জিহ্বা কেটে নেন।

ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মাহিদুল মাহিদ/ওএফ