ইভিএমে একজনকে ভোট দিলে অন্য জায়গায় চলে যায়
আগামী ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে শহরের পাঠানপাড়ায় তার নিজস্ব বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর ও সদর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে তিনি বলেন, গত ১৮ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিভিন্ন নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করে আসছে।
বিজ্ঞাপন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ আরও বলেন, অত্যন্ত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার বিষয়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ১৫টি ওয়ার্ডে প্রায় ৩০০টির বেশি অফিস স্থাপন করেছেন। গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে উচ্চস্বরে মাইক বাজাচ্ছেন, যা নির্বাচন সম্পর্কে নৈতিবাচক ধারণা তৈরি করছে। পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় দোকানে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে নৌকার প্রচারণা চালাতে বাধ্য করা হচ্ছে। যা নির্বাচনী আচরণবিধির সম্পূর্ণভাবে লঙঘন।
এমপি হারুন অভিযোগ করে বলেন, গত দু’দিন ধরে মোবাইলফোন প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা। এ ছাড়াও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জগ প্রতীকের অফিস ভাঙচুর করে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি গত ২২ ও ২৩ অক্টোবর শিয়ালা মোড় ও মিরের খৈইলানে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীর পূর্ব নির্ধারিত নির্বাচনী প্রচারণার সময় উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাধাগ্রস্ত করতে উচ্চস্বরে মাইক বাজায় নৌকা প্রতীকের কর্মীরা। এতে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা পেয়ে ফিরে আসেন নারিকেলগাছ প্রতীকের প্রার্থী।
বিজ্ঞাপন
এ সময় ইভিএমে ভোটগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযোগ রয়েছে ইভিএমে একজনকে ভোট দিলে অন্য জায়গায় চলে যায়, এ জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, আগামী ২ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে। কিন্তু ইভিএম বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত সচেতনতা সৃষ্টিতে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে ৩১ অক্টোবর ইভিএমে ভোটদান প্রসঙ্গে প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। কিন্তু দেড়লাখ ভোটার অধ্যুষিত এলাকার জন্য এ সময় যথেষ্ট নয়।
এ সময় সুষ্ঠ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান এমপি হারুন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম, সদর থানা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তসিকুল ইসলাম তোসিসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে ৪ জন, ১৫টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৯৮ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ২১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জাহাঙ্গীর আলম/আরআই