নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ফটকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাখাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের দুই আনসার সদস্যকে ছুরিকাঘাতের পর ঘটনাস্থল থেকে ৩০টি ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারাত) মো. মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

মাসুদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফুটপাত ও সড়কে জনসাধারণের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করার জন্য এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। মোট ৩০টি ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। ভাসমান দোকানগুলোর কারণে হাসপাতালে আসা রোগীদের ভোগান্তি পোতাতে হয়। 

সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাখা নিয়ে আনসার সদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় কথা কাটাকাটি হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাখাকে কেন্দ্র করে আজকেও কয়েকজন যুবকের সঙ্গে আনসার সদস্যদের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে এক যুবক দায়িত্বরত দুই আনসার সদস্যকে ছুরিকাঘাত করেন। এমন ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। পরিচ্ছন্ন ও অবাধ চলাচল নিশ্চিত করার জন্য এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

এ সময় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিমসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ফটকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাখাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের দুই আনসার সদস্যকে ছুরিকাঘাত করেন এক যুবক। এ ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালের তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।  

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত সপ্তাহ থেকে হাসপাতালের গেটের ভেতরে রোগীর গাড়ি ছাড়া অন্য সব যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কিছু অটোরিকশা ভেতরে ঢুকতে চাইলে আনসার সদস্যরা তাদের বাধা দেন। সে সময় এক যুবক আনসার সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।

হাসিব আল আমিন/আরএআর