চাল আমদানির এলসির টাকা জমা দেওয়ার জন্য ব্যাগে ১৪ লাখ টাকা নিয়ে সোনালী ব্যাংকের দিকে রওনা হন স্থানীয় ব্যবসায়ী ওবায়দুর রহমানের ছেলে আবুল বাসার মুন। রিকশায় যাওয়ার পথে ২ লাখ টাকা তার ব্যাগ থেকে পড়ে যায়। মুন তাড়াহুড়ো করে রিক্সা থেকে নেমে ব্যাংকের দিকে চলে যান।  

পরে রিক্সা থেকে ২ লাখ টাকা পেয়ে সেখানে প্রকৃত মালিককে খুঁজতে থাকেন ওই রিকশাচালক। মালিককে খুঁজে না পেয়ে সে টাকা স্থানীয় থানায় জমা দেন তিনি। পরে পুলিশের তৎপরতায় সে টাকা প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার (হিলি) চারমাথার মোড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। হাকিমপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার শামীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ভারত থেকে চাল আমদানি করার জন্য আবুল বাসার মুন নামের এক যুবক ১৪ লাখ টাকা নিয়ে হাকিমপুর সোনালী ব্যাংকে যাচ্ছিলেন। ওই ব্যক্তির ব্যাগের চেন ছেঁড়া থাকায় ২ লাখ টাকার দুটি বান্ডিল পড়ে যায়। রাস্তায় হাফিজুল ইসলাম নামে এক রিকশাচালক টাকাগুলো পেয়ে আসল মালিককে খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক বেলাল হোসেনের সহযোগিতায় হাকিমপুর থানায় টাকাগুলো জমা দেন হাফিজুল ইসলাম। ঘটনাটি হাকিমপুর থানা পুলিশের ফেইসবুক পেজে শেয়ার করা হলে টাকার মালিক মুন থানায় এসে টাকাগুলো নিয়ে যান।

জানতে চাইলে হাকিমপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার শামীম বলেন, আবুল বাশার মুন নামের এক ব্যবসায়ী তার ছেলের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যাওয়ার সময় ব্যাগের চেন ছেঁড়া থাকায় ২ লাখ টাকা পড়ে যায়। টাকাগুলো এক রিকশাচালক পেয়ে পুলিশের কাছে জমা দিলে পুলিশ প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করে টাকাগুলো ফেরত দেয়।

সোহেল রানা/ আরআই