কুষ্টিয়ার কমলাপুর এলাকায় দ্বিতীয়তলা বাড়ি বাঁচাতে জোরপূর্বক বাঁকা নকশায় ব্রিজ নির্মাণ

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কমলাপুর এলাকায় জোরপূর্বক বাঁকা করে ব্রিজ নির্মাণ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী, পৌরসভা ও স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পাননি স্থানীয়রা।

জানা যায়, কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর এলাকার মরাগড়াই খালের ব্রিজ নির্দিষ্ট জায়গায় নির্মাণ না করার অভিযোগে গত রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) আবারও কাজ শুরু করে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।

কমলাপুর থেকে মঙ্গলবাড়িয়া, জুগিয়া ও বারখাদা সংযোগ স্থাপনকারী একমাত্র ব্রিজ। এই ব্রিজটি কয়েক বছর আগে স্থানীয়দের টাকায় নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে ব্রিজের দুই পাশের রেলিং ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করত জনসাধারণ। এ বছর এই ব্রিজটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। সম্প্রতি কাজ শুরু করা হয়।

স্থানীয় হাফিজুর রহমান

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, এলজিইডির প্রভাবশালী এক প্রকৌশলীর দ্বিতীয়তলা বাড়ি বাঁচাতে ব্রিজটি বাঁকা করে তৈরি করা হচ্ছে। সেই বাড়িটি বাঁচাতে এভাবে নকশা করা হয়েছে। এইভাবে ব্রিজ নির্মাণ করা হলে প্রতিনিয়ত ঘটবে সড়ক দুর্ঘটনা। তাই আমরা এই কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। তবে প্রকৌশলী তার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সোমবার পুনরায় ত্রুটিপূর্ণ নকশা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের মাঝখান থেকে ব্রিজ নির্মাণ না করে (কমলাপুর থেকে মঙ্গলবাড়িয়া-জুগিয়া যাওয়ার) বাঁ দিকে বাঁকা করে নকশা করা হয়েছে। আর ডানদিকে প্রভাবশালী প্রকৌশলীর দ্বিতীয়তলা বাড়ি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, একজন প্রকৌশলীর বাড়ি বাঁচাতে ব্রিজটি নির্মাণে ত্রুটিপূর্ণ নকশা করা হয়েছে । এভাবে ব্রিজ নির্মাণ করা হলে প্রতিনিয়ত ঘটবে সড়ক দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা আরও বলেন, আগে নির্ধারিত ব্রিজটি সোজা  থাকলেও এখন বাঁকা করে নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু এলজিইডি কর্তৃপক্ষ আমাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে জোরপূর্বক বাঁকাপথে ব্রিজ নির্মাণ করছে। এতে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।

নির্মাণাধীন ব্রিজের কাছে সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী জহুরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা হয়। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু বলতে পারব না। আপনারা আমার অফিসে যান। সেখানে কুষ্টিয়া জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী স্যার আছেন। তিনি বিস্তারিত বলতে পারবেন।’

কুষ্টিয়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি।

এমএসআর