নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গত চার দিনে চার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় ডাকাতরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ ১১টি গরু লুট করেছে। এতে এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছেন। রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন তারা।

সর্বশেষ রোববার গভীর রাতে চর ওয়াপদা ইউনিয়নের বাদামতলি এলাকায় আলী আহাম্মদ মাস্টারের বাড়িতে ডাকাত ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ১১টি গরু ও নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতদের হামলায় দুজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রবাসী জসিমের বাড়িতে দরজা ভেঙে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়। পরে ধাওয়া খেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ নিয়ে গত চার দিনে চারটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে

একই দিন চরজব্বার ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামে শাহজাহানের ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ১১ লাখ টাকা লুট করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খরব পেয়ে সোমবার সকালে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল দুটি পরিদর্শন করেছেন। তবে ১১ লাখ টাকা লুটের ঘটনাটি রহস্যজনক বলে ধারণা করছে পুলিশ।

চর ওয়াপদা ইউনিয়নে আল আমিন বাজারে পশ্চিমে এনায়েত উল্যাহর বাড়ি থেকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণ ও ৪টি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতের হামলায় শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী হাজেরা খাতুন (৩০) আহত হন।

এ ছাড়া প্রবাসী জসিমের বাড়িতে দরজা ভেঙে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়। পরে ধাওয়া খেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ নিয়ে গত চার দিনে চারটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

চরজব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, এসব ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এসব ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে ১১ লক্ষ টাকা লুটের ঘটনাটি সন্দেহ সৃষ্টি করে। স্থানীয় এলাকাবাসী পুলিশের মোবাইল টিম জোরদার ও নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।

এনএ