গাজীপুরে টিকাকেন্দ্রে হাতাহাতির ঘটনায় কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ
গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্বিতীয় ডোজের করোনা টিকা নিতে আসাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। এ কারণে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
খবর পেয়ে গাজীপুর সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টিকা কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা জানান, সারাদেশে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে করোনার দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়। গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই শত শত লোক ভিড় করতে থাকেন। সকাল ১০টার মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে আসেন কয়েক হাজার মানুষ। এ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে পর্যায়ক্রমে টিকা দেওয়া হচ্ছিল।
লাইন দীর্ঘ হওয়ায় শতাধিক নারী-পুরুষ লাইন ভেঙে টিকা নিতে সামনে চলে আসে। এতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়। সেখানে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারায় থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ সময় কর্তৃপক্ষ গণটিকা কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে।
বিজ্ঞাপন
আনসার সদস্য কমান্ডার মঞ্জুরুল রহমান বলেন, আমরা সকাল থেকে এখানে দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের ৫০ জন সদস্য কাজ করছে। হঠাৎ হাতাহাতি শুরু হওয়ায় টিকা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে এটি তাদের দায়িত্ব না। সিভিল সার্জন ও সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব।
গাজীপুরের ধীরাশ্রম এলাকার বাসিন্দা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, এসএমএস পেয়ে সকাল ৭টায় টিকা নিতে এসেছি। এতক্ষণ রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হাতাহাতির ঘটনার পর টিকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
গাজীপুর সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান বলেন, গণটিকা দেওয়ার জন্য এসএমএস পাঠানো হয়েছে। আমাদের অনেক কেন্দ্র রয়েছে তারা তাদের নির্ধারিত কেন্দ্রে না গিয়ে বিপুল সংখ্যক লোক শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে চলে আসে। এতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
শিহাব খান/আরআই