ধামরাইয়ে নির্বাচনী সংঘর্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ আহত ২৪
ঢাকার ধামরাইয়ের সূয়াপুর ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচারণায় সংঘর্ষে বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেনসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৪ জন সমর্থক আহত হয়েছেন।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ-সংলগ্ন এলাকায় দফায় দফায় নৌকা সমর্থিত প্রাথী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মধ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
আহত অন্যরা হলেন সাগর (২৮), পলাশ (৩৫), সাকিম উদ্দিন (৫৫)। তারা সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন। এ ছাড়া নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক সাবেক সেনাসদস্য আব্দুল হালিম (৪২), দেলোয়ারসহ (২৭) ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন।
হামলায় আহত সোহরাবের সমর্থক সাকিম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, তারা সকাল থেকে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে সুয়াপুর ইউনিয়ন সেতু এলাকায় প্রথম দফায় তাদের ওপর হামলা করেন নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী কফিল উদ্দিনের সমর্থকরা। পরে গাড়িতে হামলা করেন তারা।
বিজ্ঞাপন
এ সময় তারা লাঠি, রড়, কাঠের চলা, ছ্যান নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তাদের প্রায় ১০ থেকে ১২ জন সমর্থক আহত হন।
এ বিষয়ে নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী কফিল উদ্দিনের ছেলে হান্নান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোহরাব চেয়ারম্যানের লোকজন প্রথমে আমাদের ওপর হামলা করে। এ সময় আমাদের ১০ থেকে ১২ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় আমার ভাই হালিমের হাতের আঙুল বিচ্ছিন্ন করে দেয় সোহরাবের লোকজন।
ধামরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নির্মল কুমার বলেন, ধামরাইয়ে আওয়ামী মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ১০ থেকে ১২ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। তারা অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ধামরাই নির্বাচন কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাহিদুল মাহিদ/এনএ