রংপুরের তারাগঞ্জে সালমা আক্তার পুঁটি (৪৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তার স্বামী আব্দুল্লাহ। হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে নাটক সাজিয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। 

পুলিশের হাতে ধরা পড়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার কথা জানিয়েছেন আব্দুল্লাহ। শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে ঢাকা পোস্টকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন তারাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহমেদ।

এর আগে শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের মাদরাসাপাড়া গ্রাম থেকে সালমা আক্তারের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে খাওয়া শেষে সালমা বেগম ও তার স্বামী আব্দুল্লাহ নিজ শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে আব্দুল্লাহ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হন। কয়েক মিনিট পর ঘরে ফিরে তার স্ত্রী পুঁটিকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে বিছানায় সালমার গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। 

স্ত্রীকে হত্যার পর নাটক সাজিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি স্বামী আব্দুল্লাহর। ঘটনার পর তার কথাবার্তা ও আচরণে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। প্রথম থেকে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও একপর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদে নিজেই স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

ওসি ফারুক আহমেদ বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর আব্দুল্লাহকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন আব্দুল্লাহ। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর