দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১৬
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর মিছিল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) শফিউদ্দিন চৌধুরীকে দায়ী করেছেন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১১ নভেম্বর তালমা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রণজিৎ মন্ডল। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ভাঙ্গা কে এম কলেজের সাবেক শিক্ষক।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানের ছেলে কামাল হোসেন মিয়া।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তালমা ইউনিয়নের রসুলপুর বাজারে বিদ্রোহী প্রার্থী কামালের একটি নির্বাচনী কার্যালয় রয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই কার্যালয়ে বসে কামাল তার সমর্থকদের সঙ্গে মত বিনিময় করছিলেন। এ সময় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর এপিএস মো. শফিউদ্দিন চৌধুরী, তালমা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ খান এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী রণজিৎ মন্ডলের নেতৃত্বে কয়েকশ লোক মিছিল করে ওই নির্বাচনী কার্যালয়ের দিকে যেতে থাকে।
ওই সময় আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে কামালের নির্বাচনী কার্যালয়ে ইট ছোড়া হয়। হামলা করা হয় কামালের নির্বাচনী ক্যাম্পে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এর মধ্যেও আওয়ামী লীগের সমর্থকরা ওই কার্যালয়ে হামলা করে এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে ফরিদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে জানান, এই হামলায় তার অন্তত ১৪ জন কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পাঁচজনকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি এই হামলার জন্য সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর এপিএস শফিউদ্দিনকে দায়ী করেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী রনজিৎ মন্ডল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা কামালের ক্যাম্পে হামলা করিনি। বরং কামালের লোকজন আমার শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালিয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর এপিএস শফিউদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) সুমিনূর রহমান বলেন, তালমার সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ লাঠিপেটা ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরএআর