কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রে চৌমুহনীতে হামলা : এমপি একরামুল
নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেছেন, চৌমুহনীতে যে হামলা হয়েছে তা আরও খারাপের দিকে যেতে পারতো। সেখানে অনেকগুলো ব্যাংক ও বিখ্যাত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিছু কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে এই হামলা হয়েছে।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালীতে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আপনাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটতে অনেকদিন সময় লাগবে। তারপরও সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। মন্দির সংস্কারে আপনাদের যা যা প্রয়োজন আমার বাড়ি-জমি বিক্রি করে হলেও আমি দিব। আমাকে আপনাদের পাশে পাবেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, আপনাদের কমিউনিটি রক্ষায় আপনাদের কাজ করতে হবে। সমাজের অসংগতি চোখে পড়লে আমাদের জানাবেন। গত বছর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণের বিষয়টি প্রশাসন এক মাস পর জানতে পারে। সেক্ষেত্রে স্থানীয়রা আগে বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও ভালো পদক্ষেপ নেওয়া যেত।
বিজ্ঞাপন
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ জনতার জন্য কাজ করে। সাড়ে ১৮ কোটি মানুষের জন্য মাত্র ২ লাখ পুলিশ রয়েছে। তাই সমাজের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কমিউনিটি পুলিশিংয়ের অনেক ভূমিকা রয়েছে।
‘মুজিববর্ষে পুলিশ নীতি, জনসেবা আর সম্প্রীতি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মোহাম্মদ শাহজাহানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি প্রফেসর কাজী মুহম্মদ রফিক উল্লাহ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক আবু নাছের মঞ্জু, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক বাবু বিনয় কিশোর রায় প্রমুখ।
হাসিব আল আমিন/আরএআর