জাটকা রক্ষায় ছোট ফাঁসের জালের ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়ায় উপকূলে বেড়েছে বড় ফাঁসের জালের চাহিদা। এ কারণে জাল তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে জাল তৈরির কারিগররা। এতে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আয় বেড়েছে কারিগরদের।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকালে কথা হয় রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ ইউনিয়নের স্লুইসগেট এলাকার জাল তৈরির কারিগর ফরিদের সাথে। তিনি বলেন, আমরা দিন মজুরের কাজ করি। একটি জালে রসি লাগাতে ২ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হয়। প্রতি জালে ১৫০ টাকা করে পারিশ্রমিক পায়। এ ছাড়া ৮ মাসের জাটকা অবরোধের কারণে এখন বড় ফাঁসের জালের চাহিদা বেড়েছে।
 
একই সময় কথা হয় আবদুল মান্নান এর সাথে। তিনি  বলেন, এখন জাটকার অবরোধ চলছে। গাঙে এখন (নদী-সাগর) ছোট ফাঁসের জাল দিয়ে মাছ ধরা যাবে না। বড় ফিসিং বোর্ডের (ট্রলার) কোম্পানি রয়েছে, তারা খয়রা (বড় ফাঁসের জাল) নেয়। যাতে করে গাঙে বড় মাছ ধরা পড়ে। দ্রুত জাল নিচ্ছে তাই কাজের চাপ বেশি।


 
রাঙ্গাবালী এলাকার জাল তৈরির কারিগর মজনু বলেন, বড় বোর্ডের জেলেরা এখন ফয়লা জাল নিতেছে। যে জালে বড় মাছ ধরা পড়ে। জাটকা জাল তুলে ফেলায় এখন বড় ফাঁসের জালের চাহিদা বেড়েছে।
 
রাঙ্গাবালীর বাহেরচর এলাকার জেলে রিপন মীর বলেন, যেহেতু জাটকার অবরোধ চলছে তাই বড় ফাঁসের জালের ব্যবহার বাড়ছে। আমরা ছোট ফাঁসের জাল তুলে ফেলেছি। তাই গাঙে মাছ ধরার জন্য বড় ফাঁসের জালের অডার দিয়েছি। এ জালে বড় পোমা, কাডা মাছসহ সামুদ্রিক নানা মাছ ধরা পড়বে। 

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা  মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল বলেন, জাটকা অভিযান সফল করতে বিভিন্ন সময় সভা, সেমিনার, লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এ কারণে জেলেরা সচেতন হওয়ায় বড় ফাঁসের জালের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রসঙ্গত, এক নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাস নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে যাতে ১০ ইঞ্চি (২৫ সেন্টিমিটার) দৈর্ঘ্যের চেয়ে ছোট ইলিশ না ধরা হয় সেজন্য ছোট ফাঁসের জাল ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করেছে সরকার। জাটকা সংরক্ষণের এই কর্মসূচি সফল করতে নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে সরকার।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/আরআই