প্রতিবন্ধীর টাকা আত্মসাৎ করে বরখাস্ত ৩ ইউপি সদস্য
শারীরিক প্রতিবন্ধী ভাতার নাম করে ২৫ হাজার টাকা আত্মসাতের দায়ে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তিন সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাময়িক বরখাস্তপত্র দেওয়া হয়।
তারা হলেন ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শাহিন ফকির, সংরক্ষিত মহিলা ১ নম্বর সদস্য সালমা আক্তার ও ২ নম্বর সদস্য মনোয়ারা বেগম মনি। এ ছাড়া তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞাপন
প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার নাওডোবা ইউনিয়নের তিন ইউপি সদস্য শাহিন, সালমা ও মনোয়ারার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪ (৪) (খ) ও (ঘ) ধারায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে ১৭ জানুয়ারি তাদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে কেন তাদের চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না, তা ১০ কর্মদিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে প্রতিবন্ধী ইলিয়াস তালুকদার বলেন, তিন মেম্বার আমার থেকে বিভিন্ন সময় সহযোগিতার কথা বলে টাকা নিত। কিন্তু তারা আমার সরকারি কার্ড থেকেও ৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে আমি এটার খবর পেলে আমি ছাড়া আরও অনেকের থেকে তারা টাকা নেয়। পরে আমি লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগ আজ প্রমাণিত হয়। এটাই আমার সার্থকতা।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, গত বছরের অক্টোবরে উপজেলার নাওডোবায় প্রতিবন্ধী ইলিয়াস তালুকদার লিখিত একটি অভিযোগ দেন। এতে তিনি বলেন, ভাতার টাকা ব্যাংক থেকে উত্তলোনের পর ইউপি সদস্যরা তার টাকা আত্মসাৎ করেন। তারা তিন মাসে ৯ হাজার টাকা থেকে মাত্র ২ হাজার টাকা দেন। আর বাকি টাকা অফিস খরচ হিসেবে রেখে দেন।
ইউএনও জানান, এ ছাড়া তার মতো আরও ১৫ থেকে ২০ জনের টাকাও নেন। তার এই লিখিত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ছিল। পরে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়। আজ তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এনএ