ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডে মনিরকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পরিবার
ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডে মৃত শ্রমিক মনির হোসেনের (ইনসার্টে) পরিবার
পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাটে নিউ রোমানা রাভার (জুতা কারখানা) ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চাঁদপুরের কচুয়ার বিতারা বাইছারা গ্রামের নিহত শ্রমিক মনির হোসেনের পরিবারে মাতম চলছে। বৃহস্পতিবার (০৪ নভেম্বর) মধ্যরাতে জুতার কারখানায় অপর চারজন ব্যক্তিসহ মনির হোসেন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।
নিহত মনির হোসেনের মা আফরোজা বেগম বলেন, ১০ মাস পূর্বে আমার স্বামী মির্জা হাসেম মারা যান। ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডে পরিবারের উপার্জনক্ষম একমাত্র ছেলে মনির হোসেনকে হারিয়ে আমরা বাকরুদ্ধ। ছেলের বউ, নাতি-নাতনিদের ভবিষ্যৎ এখন কী হবে? এই বলে কেঁদে ফেলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
নিহত মনিরের স্ত্রী নুরহাজান বেগম বলেন, আমার স্বামী গত মাসের ৪ তারিখ সর্বশেষ বাড়িতে আসেন। অবুঝ ২ ছেলে ও ১ মেয়েকে নিয়ে এখন আমি কী করব?
স্থানীয়রা জানায়, মনির হোসেন গরিব পরিবারের সন্তান। তার এ মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যরা মারাত্মক বিপদের মুখে পড়ে গেলেন। এলাকাবাসী ও সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের নিহত মনির হোসেনের অসহায় পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন
একই গ্রামের প্রতিবেশী কাজী আব্দুল বাতেন বলেন, মনির হোসেন আমার খালাতো ভাই। তিনি কয়েক বছর ধরে পুরান ঢাকায় জুতার কারখানায় কর্মরত ছিলেন। অসহায় মনির হোসেনের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে রুমানা কারখানার মালিকপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানাই।
এদিকে মনির হোসেনের মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ তার বাড়িতে ভিড় জমান। এ সময় মনির হোসেনের স্বজন ও এলাকাবাসীর কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে ওঠে।
বিতারা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল বারেক মজুমদার বলেন, শনাক্ত হওয়ার পর থেকে মনিরের মরদেহ বাড়িতে আনার ব্যবস্থা করছি। এই বিষয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকেও অবহিত করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।
শরীফুল ইসলাম/এমএসআর