সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় বিদ্যালয়ে আসার পথে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) প্রেমের প্রস্তাব দেন এক যুবক। এ সময় সাড়া না দেওয়ায় ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে এলাকাবাসী ওই যুবককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। শনিবার (৬ নভেম্বর) সকালে তালম ইউনিয়নের গুল্টা বাজার আদিবাসী দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের অদূরে গোলাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলে আশিক।

শহিদুল ইসলাম (২২) উপজেলার তালম ইউনিয়নের গোন্তা গ্রামের নবির উদ্দিনের ছেলে। 

এলাকাবাসী জানান, শনিবার সকালে বিদ্যালয়ে আসার সময় যুবক শহিদুল মোটরসাইকেল নিয়ে ওই ছাত্রীকে রাস্তা আটকে উত্ত্যক্ত করছিলেন ও অশালীন কথাবার্তা বলছিলেন। বিষয়টি লোকজন টের পেয়ে শহিদুলকে ধরে গণধোলাই দিয়ে বিদ্যালয় কক্ষে আটকে রাখে। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌসকে পাঠান।

গুল্টার আদিবাসী দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার জানান, শহিদুল প্রায়ই ছাত্রীটিকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার ছাত্রীর অভিভাবকরা যুবকের অভিভাবককে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবাউল করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌসকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তিনি সব শুনে ছাত্রীর অভিভাবকদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যুবককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলে আশিক বলেন, যুবক এখন পুলিশের হেফাজতে আছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

শুভ কুমার ঘোষ/এনএ