আরও ৪৭ পর্যটক নিয়ে চট্টগ্রামের পথে পুলিশের দ্বিতীয় বাস
হঠাৎ করে গণপরিবহণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পর্যটননগরী কক্সবাজারে বেড়াতে এসে প্রায় ২০ হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরতে পারেননি। তবে পর্যটকদের চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ।
তারই অংশ হিসেবে শনিবার (৬ নভেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে কক্সবাজার পুলিশ লাইন্স থেকে আরও ৪৭ জন পর্যটক নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে দ্বিতীয় বাসটি। এসব বাস পর্যটকদের চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইন্স পর্যন্ত নিয়ে যাবে। এর আগে ৪৬ জন পর্যটক নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় পুলিশের প্রথম বাস।
বিজ্ঞাপন
অস্থায়ী বাস সার্ভিসের কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম) মো. জাকির হোসেন খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আইজিপি স্যারের নির্দেশনায় কক্সবাজার জেলা পুলিশ এসব বাসে করে আটকে পড়া পর্যটকদের চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দেবে। এখন পর্যন্ত দুটি বাসে করে ৯৩ জন পর্যটক কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন। আরও ১৩টি বাস রয়েছে যেগুলোতে বাকিদের পৌঁছে দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
অনেক পর্যটক অতিরিক্ত ভাড়ায় উড়োজাহাজে কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন। যাদের সেই সামর্থ্য নেই তারা ছোট যানবাহনে কক্সবাজার ছাড়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু অন্য সময়ের চেয়ে ভাড়া দুই-তিনগুণ হওয়ায় তারা কক্সবাজার ত্যাগ করতে পারছেন না।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে বৃহস্পতি-শুক্র ও শনিবার হাতে রেখে কক্সবাজার আসেন লাখো পর্যটক। অনেকেই কক্সবাজার এসেছেন বৃহস্পতিবার। আবার শুক্রবার ভোরেও পৌঁছান অনেকে। যারা শুক্রবার ফিরে যাওয়ার সিডিউলে ছিলেন তারা এসেছিলেন আরও কয়েক দিন আগে। এ রকম প্রায় ২০ হাজার পর্যটক রয়েছে বলে হোটেল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তারা নির্ধারিত সময়ে কক্সবাজার ছেড়ে যেতে পারেননি।
জানা গেছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য গণপরিবহন, মালবাহী ট্রাক ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় পরিবহন সংগঠনের নেতারা। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যার প্রভাব পড়েছে।
মুহিব/আরএআর