কুড়িগ্রামে ঝুমার জামিন নামঞ্জুর, একাধিক মামলা প্রক্রিয়াধীন
প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলায় রাজারহাট সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের শিক্ষিকা দিলরুবা বেগম ঝুমার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (৮ নভেম্বর) কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আব্দুল মান্নান তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে গত (২১ অক্টোবর) নিম্ন আদালতের বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। একই সঙ্গে দিলরুবা বেগমের তিন দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি কলেজের প্রভাষক হওয়া সত্ত্বেও দিলরুবা বেগম নীতিমালা লংঘন করে ছিন্নমুকুল বাংলাদেশ এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক হন। ওই সংস্থার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক হওয়ার সুবাদে তিনি কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ পনির উদ্দিন আহমেদ ও কুড়িগ্রাম জেলা সমাজ সেবা অফিসের সাবেক উপ-পরিচালক যোবায়ের আহমেদের স্বাক্ষর জাল করেন।
এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ পনির উদ্দিনের পক্ষে উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের খোরশেদ আলম বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি মামলা করেন।
বিজ্ঞাপন
ওই মামলায় দিলরুবা বেগম উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন পেয়েছিলেন। পরে ২১ অক্টোবর তিনি কুড়িগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
জেল হাজতে থাকাবস্থায় পুনরায় তার জামিনের জন্য কুড়িগ্রাম জজ আদালতে তার পক্ষে একটি মিস কেস করা হয়। সোমবার ওই মামলাসহ আরো একটি প্রতারণার মামলায় জামিন শুনানির দিন ধার্য্য ছিল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুড়িগ্রাম সিআইডির পুলিশ ইন্সপেক্টর এপিএম শিফাতুল মজুমদার বলেন, সোমবার (৮ নভেম্বর) দিলরুবার বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
মামলার বাদী খোরশেদ আলম জানান, তার বিরুদ্ধে আরো একাধিক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, দিলরুবা বেগম ঝুমা রাজারহাট সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদ-পদবি ব্যবহার করে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জুয়েল রানা/এমএএস