'আপনারা যারা যাচাই-বাছাই কমিটির সামনে সাক্ষী দিতে এসেছেন, তারা কোনো মিথ্যা তথ্য দেবেন না। মিথ্যা সাক্ষী দেবেন না। আপনার সাক্ষীতে কোনো অমুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হোক কিংবা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই থেকে বাদ যাক এটা আমরা চাই না। আমরা চাই, প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধারা গেজেট ভুক্ত হোক। তাঁদের জন্য আমরা দেশ পেয়েছি। তাঁদেরকে সম্মান দিতেই হবে।'

সোমবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে নতুন মুক্তিযোদ্ধা অন্তর্ভূক্তকরণ ও যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান। 

২০২০ সালের শেষ দিকে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) নতুন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভূক্তকরণের জন্য পাঠানো তালিকার বোয়ালমারী উপজেলার ৪৪ জন ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ২৭ জনসহ মোট ৭১ জনের বিভাগীয় পর্যায়ের যাচাই বাছাই করা হয় আজ।

যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ফরিদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবুল ফয়েজ, ডেপুটি কমান্ডার মো. নজরুল ইসলাম, বোয়ালমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক আব্দুর রশীদ, নওয়াবউদিন আহমেদ টোকন মিয়া প্রমূখ।

অনুষ্ঠানটি আজ সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলে। এর আগে বোয়ালমারীতে শাজাহান খান পৌঁছালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান এমএম মোশাররফ হোসেন, ইউএনও মো. রেজাউল করিম ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

জহির হোসেন/আরআই