নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেয়ায় ভোলার দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মো. মিলন চৌধুরী কিটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন।

সোমবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে নিজ বাড়িতে তিনি বিষ পান করেন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তার পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

ভোলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. খালেদা ইসলাম মিতু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কিটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিন। তাকে সদর হাসপাতালে আনা হলে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত।

মেম্বার প্রার্থী মো. মিলন চৌধুরীর ছেলে ইমরান হাসান অপি বলেন, বিকেলের দিকে ৬নং ওয়ার্ড থেকে বশির আমিন, সত্তার ও চৌধুরী মেম্বার আমাদের বাড়িতে এসে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে বাবাকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলেন এবং তারা আরও জানায়, ইউনিয়ন আ.লীগ থেকে বলা হয়েছে মিলন চৌধুরীর প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীকের গিয়াস উদ্দিনকে দল থেকে সিলেকশন করা হয়েছে। তাকেই এবার মেম্বার নির্বাচিত করতে হবে। নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে নির্বাচনের দিন যদি কোনো সহিংসতা ঘটে ১০/১২টা লাশ পড়ে তাহলে সেই দায় ইউনিয়ন আ.লীগ নেবে না। এতে লজ্জায় ও ক্ষোভে নিজের ঘরে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।

মিলন চৌধুরীর চাচাত ভাই মো. আরিফুর রহমান বলেন, আমার চাচাত ভাইয়ের ৮০ ভাগ জন সমর্থন রয়েছে। তিনি এর আগেও ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। প্রতিপক্ষ প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন কৌশলে আ.লীগের নাম ভাঙিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।

প্রার্থী মিলন চৌধুরী বলেন, আমি এতদিন ধরে এলাকায় গণসংযোগ করেছি। এলাকায় আমার ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। তাদের এই হুমকিতে আমি যদি নির্বাচন থেকে সরে যাই তাহলে জনগণকে কী জবাব দেব? তাই ক্ষোভে ও লজ্জায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছি।

ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, দৌলতখান থানা থেকে খবর পেয়ে আমরা সদর হাসপাতালে এসে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী মেম্বার প্রার্থীর তথ্য সংগ্রহ করেছি। পরবর্তীতে থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ঘটনা পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

ইমতিয়াজুর রহমান/এমএএস