প্রকাশ্যে সিল মারার ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিককে মারধর

শরীয়তপুরের তুলাসার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে নৌকা ও বই প্রতীকে সিল মারার ভিডিও ধারণ করায় এক সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। 

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিকের নাম বি.এম. ইশ্রাফিল। তিনি ডিবিসি নিউজের শরীয়তপুর প্রতিনিধি। তাঁকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোটগ্রহণের সময় সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী (বই প্রতীক) জিয়াসমিন বেগমের দেবর ও তার আত্মীয়রা প্রিজাইডিং অফিসারের সামনে প্রকাশ্যে নৌকা ও বই মার্কায় জাল ভোট দিচ্ছিলেন। সে সময় ডিবিসির সাংবাদিক বি এম ইশ্রাফিল ভিডিও ধারণ করতে গেলে ওই প্রার্থীর স্বামী ও দেবরসহ বেশকিছু লোক তার ওপর হামলা করেন। 

আহত সাংবাদিক বি এম ইশ্রাফিল বলেন, নির্বাচনে আমি পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলাম। তখন জিয়াসমিন বেগমের দেবর ও তাঁর আত্মীয়রা আমার ওপর হামলা চালায়। কেন্দ্রে উপস্থিত অন্য সাংবাদিকরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমি এই হামলার বিচার চাই।

প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারার ঘটনা এবং সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রিজাইডিং অফিসার শামীম মাহবুব বলেন, ভোট চলাকালীন সময় পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে সাংবাদিকরা তর্কে জড়ান। এতে অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।  

শরীয়তপুর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোকনুজ্জামান পারভেজ বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক ইশ্রাফিলের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আক্তার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনাটি দুঃখজনক। হামলার বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন বলেন, বিষয়টি প্রিজাইডিং অফিসারের কাছ থেকে জানার পর তদন্ত করে দেখা হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/ আইএসএইচ/জেএস