বয়স হয়েছে! নিজে তেমন হাঁটতে পারেন না। তাতে কী, নাতি আর ছেলের বউয়ের কাঁধে ভর করে ভোট দিতে এলেন শতবর্ষী রুস্তম হাওলাদার। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ৬ নং ওয়ার্ডের উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। ভোট দিয়ে বের হওয়ার পর এক ঝলক তৃপ্তির হাসি দেখা গেল শতবর্ষী এ মানুষটির মুখে।
 
কালকিনি উপজেলার ছোট চরকয়ারিয়া এলাকার বাসিন্দা রুস্তম হাওলাদার। ভোটার তালিকা অনুযায়ী তার জন্ম ১৮৮০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। সে হিসেবে তার বয়স এখন ১৪০ বছর। স্থানীয়দের দাবি, তিনি এলাকার সব থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ ভোটার। শতবর্ষী এ মানুষটি ২ ছেলের বাবা।

রুস্তম হাওলাদারের স্বজনরা জনান, বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি চোখে ঝাপসা দেখেন এবং কানে শুনতে পান না। কথাও বলতে পারেন না ঠিক মতো। হাঁটা-চলা করতে অন্যের সহযোগিতা নিতে হয়। ভোট দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করায় ছেলের বউ এবং নাতি কাঁধে করে ভোট দিতে নিয়ে আসে।

চরকয়ারিয়ার মহিউদ্দিন বলেন, আমার বাবা ১৩৫ বছর বয়সে ৫ বছর আগে মারা গেছেন। রুস্তম হাওলাদার বাবার বন্ধু। সে হিসেবে তার বয়স ১৪০ বছর। তিনি আমাদের এলাকার সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি।

ছেলের বউ আসমা বেগম বলেন, বাড়ির থেকে অনেক কষ্ট করে তাকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে এসেছি। লাইনে না দাঁড় করিয়ে আগেই ভোট দিতে দিয়েছে। ভালোভাবেই তিনি ভোট দিছেন।

রুস্তম হাওলাদারের নাতি মাহাবুব হাসান বলেন, কালকিনির ভেতর সব চাইতে বয়স্ক মানুষ। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শারীরিকভাবে নানা জটিলতায় ভুগছেন। ভোট দিতে চেয়েছেন তাই কষ্ট হলেও নিয়ে এসেছি। 

বিপুল সংখ্যক ভোটারদের উপস্থিতিতে মাদারীপুরের কালকিনি ও ডাসার উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

নাজমুল মোড়ল/আরআই