দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের চলাচলের একটি রাস্তায় বেড়া দিয়েছেন পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকরা। এতে ওই গ্রাম দুটির মানুষ চলাচল করতে পারছেন না। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের খুলিয়াগাড়ী গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, তিলকপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে ৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এরমধ্যে ফুটবল প্রতীকে লড়ছিলেন রাজ্জাকুল হায়দার। তার বাড়ি খুলিয়াগাড়ী গ্রামে। আর টিউবওয়েল প্রতীকে লড়ছিলেন রফিকুল ইসলাম। তার বাড়ি কৈগাড়ী গ্রামে। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রফিকুল ইসলাম বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজ্জাকুল হায়দার পরাজিত হন। ভোটের পর ওই দিন রাতে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। এরপর শুক্রবার সকালে রাজ্জাকুলের সমর্থকেরা দুই গ্রামের চলাচলের কাঁচা রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেন। এই প্রতিবেদন লেখা (শনিবার সন্ধ্যা) পর্যন্ত বেড়াটি সরানো হয়নি।

খুলিয়াগাড়ী গ্রামের আবদুর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য প্রার্থী রাজ্জাকুল হায়দারকে পরিকল্পিতভাবে ফেল করানো হয়েছে। এ কারণে গ্রামের লোকজন রাস্তায় বেড়া দিয়েছেন।

পরাজিত প্রার্থী রাজ্জাকুল হায়দার বলেন, ভোটকেন্দ্র করমজি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছিল। আক্কেলপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রানা চৌধুরী ও তার স্ত্রী স্বপ্না চৌধুরী সাংবাদিক সেজে ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিলেন। ভোট গণনা শেষে প্রথমে আমাকে ছয় ভোটে বিজয়ী করা হয়। এরপর রানা চৌধুরী ও স্বপ্না চৌধুরী ভেতরে আসার পর তৃতীয়বারের মতো ভোট গণনা করে আমায় ৪২ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়। গ্রামের লোকজন এই ফল মেনে নেননি। এ কারণে গ্রামের চলাচলের রাস্তায় তারা বেড়া দিয়েছেন।

নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিজয়ী হওয়ার পর খুলিয়াগাড়ী গ্রামের লোকজন রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়েছেন। এতে লোকজন চলাচলে ভোগান্তিতে পড়ছেন।

রানা চৌধুরী ও স্বপ্না চৌধুরী জানান, তারা সাংবাদিক হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। করমজি ভোটকেন্দ্রেও গিয়েছিলেন। সেখানে নিয়ম মেনে ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। রাজ্জাকুল হায়দার ও তার কর্মী-সমর্থকদের আনা অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানান তারা।

আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম হাবিবুল হাসান শনিবার রাতে বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে সেখানে পুলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

চম্পক কুমার/ওএফ